বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম চাকমা-বৌদ্ধ শূন্য করার প্রক্রিয়া চলছে।
এটা অতি দুঃখের যে, হিন্দুরা কিছুতেই এই সত্যটা বুঝতে পারছে না, কোনো এলাকায় মুসলমানরা যতক্ষণ সংখ্যালঘু থাকবে ততক্ষণ তারা ধর্মনিরপেক্ষতার গুণ গাইবে এবং সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ অধিকার চাইবে। যখনই তারা কোন একটা এলাকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে তখনই সেখানে তারা দারুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে চাইবে।
১৯৪৭ সালে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম মুসলমান ছিল কেবল ২ শতাংশ। পাহাড়ি ও জঙ্গল বলে এলাকা ছিল খুব ফাঁকা ফাঁকা। পাকিস্তান আমলে সমতল থেকে মুসলমান ঢোকানো শুরু হল। জনসংখ্যার অনুপাত পাল্টাতে লাগল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রমের চাকমা ও অন্যান্য জনজাতি নেতারা ঢাকায় তথাকথিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানালেন, সেখানকার জনজাতি চরিত্র বজায় রাখার জন্য। শেখ মুজিবর তাদেরকে ধমক দিয়ে বললেন, এখন থেকে বাংলাদেশে অন্য কোনো জাতি - জনজাতি চলবে না। এখন থেকে সবাইকে বাঙালি হতে হবে। অর্থাৎ, পার্বত্য চট্টগ্রামের মুসলমানীকরণ চলবে বাঙালীকরণের নামে।
আজ পার্বত্য চট্টগ্রামে ৬০% মুসলমান, ৪০% চাকমা, ত্রিপুরী, মং ও অন্যান্য জনজাতি।
এরই বিরুদ্ধে ৯০-এর দশকে চাকমারা 'শান্তি বাহিনী' তৈরী করে যুদ্ধ করেছিল। ভারত সরকারের মধ্যস্থতায় চাকমাদের সঙ্গে "শান্তি চুক্তি" স্বাক্ষর করে সেই যুদ্ধ সমাপ্ত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সেই চুক্তির শর্ত না মেনে সেখানে মুসলমান বসানো চালিয়ে যাচ্ছে। ওটাকে তারা সম্পূর্ণ দারুল ইসলাম করেই ছাড়বে।
কিন্তু একথা আপনি বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার হিন্দুকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। বুঝবে না। সেখানে দলে দলে মুসলমান বিজেপি তে ঢুকবে। বিজেপি নেতারা আনন্দিত হবেন, কিছু বাড়তি ভোট পাওয়া যাবে এই আশায়। ফলে কাশ্মীর, বাংলাদেশ, পার্বত্য চট্টগ্রামে হিন্দুর উপর অত্যাচারের কোনো প্রতিক্রিয়া তারা দেখাবে না। তাদের কাছে সেখানকার মুসলমানরা ভাল ও ধর্মনিরপেক্ষ।
হিন্দুর এ রোগ সারানোর কোনো উপায়, কোনো ওষুধ এখনো পর্যন্ত কোনো মহাপুরুষ আবিষ্কার করতে পারেনি।
আপনারা কোন মুখে বাঁচার কথা বলেন?
- যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনারা ধর্মকর দিতে না জানবেন, ধর্মের জন্য অস্ত্র ধারন করতে না শিখবেন, ভুলে থাকবেন নিজেদের নির্মম ইতিহাস, আত্মরক্ষা থেকে বিস্মৃত হবেন। যতক্ষণ না আপনাদের মেয়েরা আপনাদের অবাধ্য থাকবে, যতক্ষণ আপনারা রক্তপাত এড়িয়ে চলবার জন্য... আমার 'লিমিটেশন' আছে,... এই আত্মপ্রবঞ্চক অজুহাত দেবেন, যতক্ষন না জনসংখ্যা বাড়াবার প্ল্যান না করছেন,.... বিরত থাকছেন কোরান বা বাইবেল অধ্যায়ন থেকে, উঠতে বসতে গরু-গরু করছেন আর অনুসরণ করছেন একশ্রেণী'র ভন্ড গুরু-গোঁসাইদের ;.. ততক্ষণ আপনাদের কিচ্ছু হবে না। হতে পারে না।
আইন শৃঙ্খলা আর প্রশাসনের উপর নির্ভর করে একটা জাতী কখনো বাঁচতে পারে নি... পারবে না। বরং পৃথিবী থেকে মুছে যাবার জন্য আজ থেকেই দিন গুনতে শুরু করে দিন।
-Tapan Ghosh (Hindu Sanghati Founder)