"R.S.S"- আদৌ কি? কেন? ও কি উদ্দেশ্য?
এক বিস্তার আলোচনা-
[এই লেখাটি প্রথম আমি প্রকাশ করেছিলাম আমাদের দৈনিক হিন্দুবার্তা পেজ এ আজ থেকে ৩ বছর আগে প্রায়. বর্তমানে অনেকে এটি কপি করে চালাচ্ছে
This writing was first made by for our Dainik Hindu Varta Page, about 3 years ago. It has been later copied and published by many other authors in their social media pages/blogs]
R.S.S. এই নামটী শুনলেই আপনার হয়তো প্রথমেই চোখে ভেসে উঠে একদল যুবকের ছবি- হাতে গেরুয়া পতাকা, তলোয়ার, মুখে সাম্প্রদায়িক উস্কানি, বাবড়ী ধংস কারী, গোঁড়ামি ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু না, এইরুপ কিছু নয় কারণ আপনি যদি একজন হিন্দু হন, ও নিশ্চিন্তে আজ ফেসবুকে এই পোস্ট পরছেন নিজের ভীটেতে, তবে জানবেন আপনি এই নিশ্চিন্তি টুকূ পেয়েছেন শুধু এই "আর এস এস"এর জন্য।হ্যা। আসলে কি জানেন, অনেক কথা, অনেক ঘটনা আমাদের স্কুল কলেজে শেখানো হয় না, যার পিছনে অনেক রাজনৈতিক কারণ থাকে, আর এই রকমই বেশীর ভাগ ভারতীয়দের কাছে এক অজানা কাহিনী আর এস এস ও তার প্রতিষ্ঠার কারণ।
প্রথমে অনুরধ করবো একবার ছবিটিতে চোখ বুলিয়ে নিতে (ছবিটিতে ইতিহাসকে এক ছোট্ট পাতায় তুলে ধরা হয়েছে- আগে দেখুন তাহলে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে)
সালটা ১৯২৫- দেশে তখন একদিকে কংরেসের সার্বভৌম নিতি- অপরদিকে মুস্লিম লিঘের গোঁড়া ইসলামি নিতি বিদ্যমান- দুই ক্ষেত্রের মাঝামাঝি অবিভক্ত বাংলা ও পাঞ্জাব এবং মারাঠা ও উত্তর বিহার/সঞ্জুক্ত প্রদেশে বিপ্লবী কার্জকলাপ তিব্র সিমায়। দেশের অধিকাংশ মানুষজন দিশাহারা- সুরাতে ১৯০৭ সালে দুই ভাগ হয় কংরেসের- এক সমাজের “বুদ্ধিজিবি” ও ইংরেজদের সাথে সুবিচারের আশা করা নরম্পন্থি- অন্য দিকে আপসহীন স্বাধীনতার দাবি করা চরমপন্থি। এরি মাঝে দেশের মানুষ বিশেষ করে তরুন সম্প্রদাই- নিজেদের আশা আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরার কোন জন্য স্থান/ কেন্দ্র, কাউকে পাশে পাচ্ছিলেন না। তার কারন, মুসলিমদের সমস্যা হলে- “শুধু মুসলিম” বলেই মুসলিম লিঘ তাদের পাশে দাঁড়াত- ও হিন্দু শিখ দের ক্ষেত্রে কংগ্রেস ‘বিশেষ ভাবে’ ধ্যান দিতে চাইত না-(পলিটিক্সের নংরামি গুলো সেই সমই থেকে শুরু হয় আসলে, যা দেখে চার্চিল বলেই দিয়েছিলেন যে এ দেশ কিছু স্বার্থপরের দ্বারা চলবে এবার থেকে ১৯৪৭ এ)। এমনি এক সময় এক তরুন ডাক্তার কেশভরাউজী- দেশ ও দেশের গরিব জনগনের সমস্যা প্রকৃত ভাবে তুলে ধরার জন্য নির্মান করেন এক সংগঠনের- নাম দেন- “রাষ্ট্রীয় স্বয়ং- সেবক সঙ্ঘ”। নাম থেকে বুঝতে পারছেন উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য কি, না ‘হিন্দুদের’ বা কোন ধর্মের জন্য- “রাষ্ট্রের” জন্য গড়া। বলা বাহুল্য- কেশাভরাউ জুগান্তার ও অনুশিলন সমিতির সাথের কলকাতায় থাকাকালীন যুক্ত ছিলেন- তাই দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গ্রামে গ্রামে দুঃস্থ মানুষের সেবা,ও বিশেষ করে “ভারতীয় চামড়া ও ইংরেজ স্বাভাব” এর কেরানী উতপাদন কারী- লর্ড ম্যাকাউলেয়ের শিক্ষা ব্যাবস্তার ষড়যন্ত্রের সাথে ওয়াকিবহল হন। আমাদের লুপ্তপ্রায় সংস্কৃতি, শীক্ষা ব্যাবস্থা ও সাথে আমাদের প্রাচীন আর্জ সনাতন ও বৈদিক শিক্ষা (যেমন ভেদিক নিউমেরিকাল যা আজ ওয়াল স্ট্রিতে ব্যবহৃত)ইত্যাদির প্রচারের প্রচেষ্টা- [যা ওয়িলিয়াম কেরি সাহেব শুরু করেন অনেক আগে]-এই সকল আর্দশের খাতিরে এই সংগঠনের নির্মান হয়।এবং তার পুরস্কার স্বরুপ- আর এস এস “রাজদ্রোহী” রুপে ঘোষিত হয়ে ‘ব্যান্ড’ হয়ে যায়!
কিন্তু ১৯৩৭ থেকে দেশের ছবিটা পাল্টাতে থাকে আস্তে আস্তে- স্বাধীনতা আসন্ন অনেকে টের পান। এই সময় আল্লামা ইকবাল, লিয়াকাত আলি, আগা খান ইত্যাদি প্রভাবশালী মুসলিম লিঘ নেতারা এক আলাদা ইসলামি রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করতে থাকেন। প্রথমে খাতায় কলমে, পরে দেশের কোনায় কোনায় মুসলিম যুবকদের উস্কানি মূলক বক্তিতা দ্বারা এই উদ্দেশ্যে কাজ চলতে থাকে। তাদের ভয়- তারা নাকি 'স্বাধীন দেশে' সমান ক্ষমতা পাবেন না। কিন্তু কারনটা পরিষ্কার- ১৯৩৫ এর জাতীয় নির্বাচনে মুসলিম লিঘের লজ্জাজনক পরাজয়। তাই রাজনৈতিক খমতার স্বার্থে চলতে থাকে ধর্মের নামে মুসলিম দের উগ্রবাদি মন্ত্রে দিক্ষা। আর তার থেকেই আসে গোঁড়ামি- কথা থেকে হাথে আসে ব্যাপারটা, এবং এর ফলস্বরূপ ১৯৪৬এর ১৬ আগস্ট প্রথমবার এই কলকাতা ও নয়াখালিতে নৃশংস ৬০০০ হিন্দু হত্যা করা হয়। ঘরে ঢুকে ঢুকে কোল্কাতার রাস্তায় মারা হয় হিন্দুদের যা ইতিহাসের কিতাব থেকে বাদ পরেছে। প্রতক্ষদর্শী একজনের সেই ভয়াবহ দিনের কাহিনীর দেখতে পারেন এখানে http://bit.ly/1NCj2Fg . নোয়াখালীতে অবস্থা হয় আরো শোচনীয়, কারণ বাংলাদেশের সেই প্রান্তে চারিদিক মুসলিমরা ঘিরে নেয়- গৃহের পুরুষ মানুষ হত্যার পর চলতে থাকে এক এক নারির উপর ২০-২২ জনের পাশবীক অত্যাচার, মন্দিরে মন্দিরে গাভি কেটে বিগ্রহের গায়ে ফেলে যাওয়া [দেখুন এখানে আরো- http://bit.ly/1PkTDSN ] এই ঘটনা দেশে হাহাকার ফেলে দেয়-সেকুলার কংগ্রেসের শ্রেষ্ঠ আর্দশ ও পরর্বতিকালে “জাতির জনক” মহাথমা গান্ধী ৬০০০ হিন্দু লাশের সামনে ঘোষণা করেন- “মুসলিমদের পাল্টা আক্রমণ আমাদের উচিৎ নয়- হিন্দুরা শান্তিপ্রিয়- তাই তোমার এক গালে কেউ থাপ্পড় মারলে তাকে না মেরে তুমি বরং তোমার আরেকটা গাল বাড়িয়ে দাউ থাপ্পড় খাওার জন্য”। এই সকল বাণী মহৎ- কিন্তু "মাহাত্যের জন্য বাঁচতে হয়- মানবিকতা মানুষের সাথে হয়- এক দিকে এক শ্রেণী মোরুক বাঁচুক আমরা আলাদা হবই” ভাবধারা রাখলে তাদের সাথে হয় না"- এই যুক্তি দিয়ে দেশের মানুষকে এক নতুন আশার আলো দেখালেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং আর এস এসের কার্জকরতা ও বিখ্যাত বিপ্লবী ভির সাভারকার জী। যিনি লোহার রডের আঘাত ও গরম শিকের ছ্যাকার দ্বারা প্রায় অত্যাচারিত হতেন কালাপানির জেলে ইংরজদের হাথে স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালিন, অপরদিকে যখন “আগা খান প্রাসাদে” গান্ধীজীকে ‘গৃহ বন্দি’ করে সরকার। সাভারকারের কথায় অনুপ্রানিত হয়ে ১৯৪৭ এ বিহার দক্ষিন ও উত্তর হরিয়ানা তে হিন্দু জোয়ানেরা হাথে তলওার তুলে নেন মুসলিম লিঘের একতরফা নৃশংসতার জবাব দিতে। এতক্ষনে প্রায় ১-১.৫ লক্ষ্য হিন্দু খুন করে বাংলা ও পাঞ্জাবে তখন মুসলিম দল পাল্টা আক্রমনের আঁচ পেয়ে পিছিয়ে বসে। সহ্রাওার্দি গান্ধীজীর কাছে এতদিনে আসেন “শান্তির” আশায়[১৬/৮/১৯৪৬এ জাকে বলা হলে যে হিন্দু নারীদের ইজ্জত লোটা হচ্ছে শুনে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে জবাব দেন-“তারা তো সুন্দরি বেশি না; তাদের প্রতি আকর্ষণ হওয়া টা স্বাভাবিক”]। এই অবস্থায় প্রায় ১২-১৫ কটি হিন্দু ও শিখের প্রাণ বাঁচে আর এস এসের জন্য। আজ আমরা পশ্চিমবঙ্গ- পুর্ব পাঞ্জাব ইত্যাদি পেয়েছি আর এস এস এই সকল একদা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকা স্থানে নিজেদের আত্মরক্ষার নিতি অবলম্বন করে তাই। এছাড়া আরেকটি জিনিস না বলে পারি না- এই সকল ঘটনায় নিজেদের "মুস্ললমান" বলে পরিচয় দেওয়া “মুসলিম মণ্ডল, মুসলমান চউহান জাঠ রাজপুত সিং” ইত্যাদি ইত্যাদি পদবি যুক্ত ও (সংস্কৃত থেকে আশা) বাংলা মারাঠি হিন্দু পাঞ্জাবি উর্দু ইত্যাদি ভাষী সকলের হিন্দু ইতিহাস একটু যাচায় করলেই বুঝতে পারা যায়। যায় হোক, পরিবেশের দায়ে তখন ‘পাল্টা আক্রমণ আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ অবলম্বন’ নীতিতে ‘স্বাধীন’ ভারতবর্ষ এই বর্ত্মান আকার নেয়(ভারতের যুক্ত পিছনে সর্বাধিক অবদান যার, 'লৌহ পুরুষ' সেই সারদার প্যাটেলও বেশ কয়েকবার বিভিন্ন আর এস এস শাখায় আসেন দেশের সুরক্ষার খাতিরে।)
আজ ভারতে- সেই একি আর্দশের চলে আর এস এস-“অন্যায় যে করে ও অন্যায় যে সহে দুই যেন তারে তৃণ সম দহে”- আর এস এস ‘মসজিদ ভাংতে’ শেখায় না- https://www.facebook.com/WERHINDU/photos/a.1537570716517214.1073741827.1537000513240901/1645756142365337/?type=3 শেখায় ‘নিজের বুকের উপর কাঁটা দিয়ে বিঁধে রাম্মন্দির ভেঙ্গে বাবরি বানালে- বাবরিকে সরিয়ে দিতে। (বিনা দোষে হাজার মাইল দূরে থাকা ভারতের জন্য কিছু গরীব বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি হিন্দুদের ৩২০০০ মন্দির ভাঙ্গতে নয়)। আর এস এস বলে- বন্যা ও ভুমিকম্প হলে আর্তের পাশে প্রাণ দিয়ে দাঁড়াতে- ভিডিউর সামনে গলার নালি কেটে ‘আমার ধর্ম শ্রেষ্ঠ’ বলতে নয়, ইসিস ও আলকাইদার মত। আর এস এস শেখায় ‘একই বৃন্তে দুইটি কুসুম ভাগাত ও এপিজে কালাম’। শেখায় ‘নিজের মাতৃভুমি বিরোধী’ শাহরুখকে বর্জন কর- কিন্তু ‘দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া’ আব্দুল হামিদকে কোটি কোটী প্রনাম জানাও। বলে না-“গলার মুণ্ডু ছিঁড়ে নে, যে বলবে না আমি সেকুলার”; বলে না- “মুরগির মত পুড়িয়ে দে যদি মাথায় পাগড়ী দেখিস”(১৯৮৪ তে কংগ্রেস)। না বলে-“গড ঈশ্বর বলে কিছু হই না- শুধু আল্লাহ বলে হয়”। কিন্তু বলে- “বাসুদেভাম কুত্তুম্বাকাম- অর্থাৎ সর্ব ধর্ম সম্ভব- কারণ নদি নালা যে পথেই যাক না কেন তার গন্তব্য সেই এক মাহাসাগর- তেমনি ধর্মিয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন- সকলের গন্তব্য এক পরমেস্বার”- আর এস এস ‘হিন্দুত্ব’ প্রচার সেখায় না- শেখায় নিজের ভিটের প্রতি নুন্যত্ম কৃতগত্বা জানাতে- আর এস এস ‘হিন্দু’ বানাতে সেখায় না- সেখায় মানুষ বানাতে- আর এস এস এর মানে ‘ কোনো হিন্দুত্বা বা আল ইসলামি বা সেন্ট কিছু নয়’ আর এস এস মানে- “রাষ্ট্রবাদি”- আমাদের দেশের মাটির প্রতি যেন আমরা ঠেকায় নিজের মাথা।
১) বাঁ দিকে উপরে- ভির সাভারকারের ছবি- স্বাধিনতা সংগ্রাম শেষে কুখ্যাত ""মৃত্যুপুরী" কালাপানি জেল থেকে ফেরত আসার পর- (মারসাই দ্বিপে ফ্রান্স এর কাছে বিখ্যাত এস্কেপ ও স্বাধিনতা সংগ্রামের এক মূল কান্ডারি)- ইনি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছিলেন এক আস্ফাকুল্লা ও হাতে ও গোনা ২-৫ জন ছাড়া মুসলিমরা এই দেশের স্বাধিনতার জন্য ৩ বার লড়াই করেছে- এক নিজেদের সাম্রাজ্যা বাঁচানোর সময়- সুলতান নবাব হয়ে- দুই, নিজের খালিফার জন্য- খিলাফাতের আন্দলনের সময়(কিছু মুসলিম ক্যেদির সাথে কতপকথনের পর- যখন কয়েদিরা বলে- আমরা "ইসলামের জন্য আগে লড়ব-"দেশের জন্য নয়)' এবং তৃতীয়ত- ১৯৪৫এর পরে- যখন দেশ স্বাধিন হয় হয়- ও সুযোগ দেখে 'ঝোপ বুঝে কোপ মেরে' নিজেরদের আলাদা জমি বানিয়ে নিয়ে- তাতে যে থালায় এতদিন খেল টা ফাতুক মরুক যাই হোক! দেশে শিখ ১.৮% শতাংশ- আর মুসলিম ৩৪% (১৯৪৬) কিন্তু বিপ্লবিদের মধ্যে ১৫% শিখ ও ০.৬% মুসলিম!
২) এবার পাশের দুটি ছবি- একটি ধর্মআন্তরিত গুজরাতি ব্রাহ্মনপুত্র ব্যাবসায়ি জিন্নাভাই পুঞ্জার শিয়া ধর্মাল্মবি সন্তান ও বিখ্যাত উকিল ও মুস্লিম লিগ নেতা মোঃ আলি জিন্নার এক রেডিও ভাষণে 'মুস্লিম' সম্প্রদায়কে 'লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তানের' ডাক ও আদেশ- [বিশদ উপরে]
৩) কংগ্রেসের "ভারতীয়" সংস্কৃতির দুই প্রতিক- মহন্দাস গান্ধী ও জাওাহারলাল নেহেরু- প্রথম ছবিটি "জাতির জনক" ও "শান্তির দুত বাপুজির" "সিভিল দিসঅবেদিয়েন্স" আন্দলন চলাকালিন ইংরেজদের বিরুদ্ধাচারনের সময়কার এক ছবি- জনৈক এক মেমসাহাবের সাথে- পাশে ব্যারিস্টার নেহেরু ও চাচাজির "দেশ স্বাধীনতার" পরিকল্পনায় এক সভার এক সদস্যার সাথে এক মুহুর্ত।
৪) একদম কোনায় যাকে দেখছেন- ইনি কলকাতা মেডিকাল কলেজের এক ডাক্তার- তথা রাষ্ট্রীয় স্বাংসেবক সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি কেশভরাউজি।
৫) নিচে বাঁদিকে এবার আসুন- বিভক্ত ভারতের মুজিবুর রহমানের 'গনতান্ত্রিক' দেশে তাঁর দল, ও 'সঙ্খালঘু সচেতন' রুপে পরিচিত 'আউয়ামি লিগের' ছাত্রদলের এক 'কাফের' বিশ্বজিতের সাথে একটি 'সামান্য গণ্ডগোল'একটি দৃশ্য । তার নিচের নিচে দেখুন-"বিএনপি ঘনিষ্ঠ জমাত এ ইসলামি" সদস্যদের "দেশের গদ্দার ও শত্রু নিধনের" ৫ বৎসরের এক "সাঙ্ঘাতিক" কাফেরকে জবাই কার্জ। ঘটনাগুলি এই সময়কার- এর মাঝখানের যে ছবিটি দেখছেন তা ২০০২ গুজ্রাথের ট্রেনের হিন্দু প্যাসেঞ্জার অগ্নিকান্ড যা দাঙ্গার আকার নেয়।এরপরের টি মুম্বাই ২০০৮, নারি পুরুষ ও শিশুর প্রতি এ কে ৪৭ রাইফেল থেকে চালা্নো মাঝ রাতে লুকিয়ে আসা মুম্বাই প্ল্যাটফর্ম এর একটি দৃশ্য... ঘটনাগুলি সবই বর্ত্মান কালের- আসলে এই সকল ঘটনায় একদা কারণ ছিল আর এস এসে হাথে অস্ত্র তুলতে বাধ্য হয়ার পিছনে, দেশ ভাগ তো হলে বটে- কিন্তু উপমহাদেশের বুকে আজও হিন্দু হত্যা বিদ্যমান, যা থেকে আন্দাজ করতে পারেন যে এই মনভাব আজও মেটেনি।
৬) ডানদিকে আসুন এবার- আরেএসেএসের একটি শাখায় কিছু কন্যা সদস্যা- আত্মরক্ষার প্রশিক্ষন নিতে- পুরুষ বা মহিলা- দুই এই দেশের উন্নতির কান্ডারী। আর এস এস এই মহান আদর্শে বিশ্বাসী- তাই আমাদের বোন দিদিদের জন্য আছে দুর্গা বাহিনি।
৭) তার নিচের ছবিটি দেখুন- পাকিস্তানে আগুনে ঝলসে যাওয়া এক মন্দির। না না কোন মসজিদ ভেঙ্গে এটি নির্মিত হয় নি। কি ভাবলেন? বাবরী , তাই তো? আচ্ছা বাংলাদেশে যে ভাংলো মন্দির? কি? আবার সেই বাবরী? আচ্ছা স্বামিনারায়ন মন্দির করাচীর আবার ভাঙা হোলো? কি? আবার সেই বাবরী তে দোষ দেবেন? হা হা হা, যাই হোক ১ বাবরী ভালোই জানলেন, জানলেন না সেই ২৭,০০০ মন্দির ভাঙ্গার কাহিনী- এই সকল ঘটনারই আঁচ করেছিল আর এস এস, আর তাই হয়ে আসছে, আজও! http://on.fb.me/1m6EfhR
৮) বাঁ দিকে একেবারে নিচে আসুন এবার-- "বিশ্বের ১ ন। টেররিষ্ট" সংগঠন আর এস এসের কিছু 'কুখ্যাত' কাজের ছবি- যা আমরা আল কাইদা- ইসিস- বোকো হারামের কাছেউ দেখি- যেমন একটি উত্তরখান্দের বন্যার সময় ত্রাণ কার্জ- আরেকটি নেপালের ভুমিকম্পর সমইকার- পাশের একটি চেন্নাইয়ের ত্রানের শিবিরের- ও অপরটি কিছু গরিব শিশুদের বিনামুল্যে বই খাতা দান- এই ধরনের 'আসামাজিক' কার্জকলাপ আর এস এস প্রায়শ্যি করে থাকে- আর এস এসের শাখায় প্রত্যেক সদস্যকে 'রক্তদান- বিনামুল্যে চিকিৎসা- নর নারায়ন সেবার' মত 'নিকৃষ্ট' কার্জকলাপের জন্য প্রশিক্ষণ প্রায় দেওউয়া হয়ে থাকে- যা অফিস থেকে এসে আরামসে টিভির রিমট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে খবরে 'আর এস এস মানে একটা জঘন্য' বলা বাবুদের কোনদিন জানা হয়না!
৯) একদম ডানদিকে চলে যান- জলন্ত ট্রেনের যে কামরা টী দেখছেন- ২০০২ গুজারাত- হ্যাঁ সেই আপনার 'খবরের শ্রেষ্ঠ খোরাক' গুজরাত নিয়েই- দেখে নিন কি ভাবে ৫৯ আর এস এস সমর্থকদের খুন করা হয় প্রথমে সেসময় http://on.fb.me/1JuK1i5 অনেক কিছু জানবেন সেই দিন কিভাবে গুজরাতি হিন্দুদের পাশে আর এস এস দাড়ায় !!
১০) মাঝখানের একদম নিচের ছবি- হ্যাঁ এই সেই 'আর এস এসের' শাখা গুলির একটির- এখানে ভয়ঙ্কর শিক্ষা দেউয়া হয়- যেমন "কোন ধর্ম শ্রেষ্ঠ নয়- মানব শ্রেষ্ঠ- তাই আব্দুল কালাম হলেউ তাকে গলা লাগাও- কিন্তু জয় চাঁদ হলেও তাকে ত্যাগ করো!"
মনে রাখবেন পাল্টা আক্রমণ আত্মরক্ষার শ্রেষ্ঠ অবলম্বন- ["COUNTER OFFENCE IS THE BEST FORM OF SELF DEFENCE!"- ভাগাত সিং] তায় আর এস এস যতদিন "সেকুলারিস্ম" ততদিন, যেদিন আর এস এস থাকবে না, সেদিন 'শান্তি'... উহহু 'সেকুলারিসিমের ছুঁচ হয়ে ঢুকে জেহাদের ফাল হয়ে বেরনো' ইসলামিকরন থেকে কেউ দেশকে বাঁচাতে পারবে না। ইহুদিরা নিজেদের ইয়াথ্রিব হারিয়েছে, বর্ত্মানে আজ যা 'মাদিনা' (গুগল দেখুন http://bit.ly/1YzrYDr ), পারসী রা নিজেদের পারস্য হারিয়েছে, যা আজ ইস্লামিক ইরান http://bit.ly/22qfQ79 , ক্রিশ্চানরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ কোন্সটাটিনোপোল ক্যাথলিকদের প্রাণকেন্দ্র তথা রোমান রাজত্যের রাজধানী হারিয়েছে (যা আজকের ইস্তানবুল,তুর্কী http://bit.ly/1mBuJmP ) । বাংলাদেশ হারিয়েছেন আজ সেখানে দেখুন, পাকিস্তান হারিয়েছেন সেখানে দেখুন, কাশ্মীরি পন্ডিত দের দেখুন। কিন্তু পারেনি শুধু এই ভারতের বুকে তাদের রাজত্য গড়তে, পারেনি শ্রীরামের এই অযোধ্যা ভূমীতে সবুজ চন্দ্র তারা ধ্বজ লাগাতে- শুধু এই আর এস এসের জন্য। এবার এরপরেও কি করবেন- দেখে শিখবেন না ঠেকে, সেটা আপনার বিষয়। কথায় আছে, "দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না"! জয় শ্রী রাম!